শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অভিযোগ ওঠা বিচারপতিরা যাচ্ছেন ছুটিতে

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এদিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের দপ্তরে একে একে প্রবেশ করছেন অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চারজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির চায়ের দাওয়াতে এসেছেন।

তারা হলেন- বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ মো. নুরউদ্দিন। তাদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, আওয়ামীপন্থী বিচারপতিদের অপসারণসহ তিন দাবিতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এ আল্টিমেটাম দেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা শহিদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে ‘শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার’ স্লোগান দেয়। তাদের ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। আমরা এক দফার মূল কথা ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,’ ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,’ ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,’ ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, হাইকোর্ট ঘেরাও হবে,’ ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা,’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম,’ ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের বিপক্ষে রায় দেয়া বিচারকরা এখনো হাইকোর্টে রয়ে গেছে। তাদের অপসারণ না করলে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সব শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।

একতরফা নির্বাচন করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলে যারা রায় দিয়েছিল, তারাও হাইকোর্টে রয়ে গেছে বলে জানান তারা। দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ এই সব বিচারকদের অপসারণ না করা পর্যন্ত হাইকোর্টে তারা অবস্থান করবে বলেও জানান। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টকে বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION